ব্রেকিং নিউজ
পঞ্চগড় মোবাইল চুরির অভিযোগে এক নারীকে বেঁধে নির্যাতন বাপ্পীর সুস্থতা কামনায় দাকোপ বিএনপির মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম, অস্বস্তি মাছ মাংসের বাজার বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আসিমের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে, স্বজনদের আহাজারি রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন বিদায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষিকা লিপিকা দস্তিদারের অবসরে যাওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান
×

প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশ : ৪/৩/২০২৪, ৬:২৪:৩৭ PM

বরগুনার প্রেস ক্লাবে আটকে মারধরের সাংবাদিকের মৃত্যু

বরগুনার প্রেস ক্লাবে আটকে মারধরের ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালুকদার মাসউদ নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় হামলার শিকার হয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

বরগুনার প্রেস ক্লাবে আটকে মারধরের ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালুকদার মাসউদ নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় হামলার শিকার হয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও এসএ টিভিতে (সাবেক) কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার ১০ নম্বর নলটোনা ইউনিয়নের গোড়াপদ্মা গ্রামে আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। এ ছাড়া ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড থেকে পরপর দুবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাবের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

ওই সময় আহতাবস্থায় তাকে জিম্মি করে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তালাবদ্ধ করেও রাখা হয়েছিল। পরে প্রশাসনের সহায়তায় সাংবাদিক মাসউদকে উদ্ধার করা হয়।

প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমতে পাঠানো হয়। এ পর্যায়ে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেও তাকে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তিনি বরগুনায় ফিরে যান। পরে গত ২ মার্চ ফের অসুস্থতাবোধ করলে তাকে শেবাচিমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মুশফিক আরিফ বলেন, প্রেস ক্লাবে ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে হামলা হামলা চালায়। এ সময় প্রেস ক্লাবের ৩য় তলার অফিসরুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে মাসউদকে প্রায় এক ঘণ্টা জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়। পরে বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত তালুকদার মো. মাসউদের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি বলেন, মৃত্যুর আগে আমার বাবা ভিডিও বার্তা দিয়ে গেছনে। সেখানে তিনি তার ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ওই ভিডিও সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেস ক্লাবের ৩য় তলার অফিসরুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে দৈনিক ভোরের আকাশ জেলা প্রতিনিধি কাশেম হাওলাদার, এনটিভির ক্যামেরা পারসন আরিফুল ইসলাম মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।

তন্নি আরও বলেন, আমার বাবাকে ওরা প্রেস ক্লাবে আটক রেখে হামলা করে হত্যা করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।বরগুনা সদর থানার ওসি আবুল কাসেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলা থেকে তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে আমরা গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসায় পাঠিয়েছিলাম। গতকাল রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হওয়ার পর আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ২ মার্চ বৈঠকের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক তালুকদার মো. মাসউদকে ১ নম্বর আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা দ্রুত বিচার আইনে প্রেস ক্লাবের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জাফর হাওলাদার একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ৩ মার্চ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে মামলার সব আসামিকেই জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।